নক্ষত্রের অন্তর্দহন

Sadat Mahmud
0


যখন মহা বিশ্বের কোনো এক প্রান্তরে জন্ম নেয় নক্ষত্র তখন তার দীপ্ত আলোয় আলোকিত হয় গ্রহপুঞ্জ। সেই নক্ষত্র কে ঘিরে গড়ে ওঠে গ্রহ গুলোর জীবন চক্র, গ্রহ গুলোর দিনের শুভ্রতা রাতের মুগ্ধতা সব কিছুর ই নিয়ন্ত্রক সেই নক্ষত্র। সাধারণ দৃষ্টিতে আপনার নিতান্তই মনে হতে পারে নক্ষত্র টি নিজের দীপ্তি ছড়িয়ে গ্রহগুলো তে প্রাণ সঞ্চার করেছে। রাতের নিকষ অন্ধকার দিনের দীপ্তি সব কিছু তার উপরেই নির্ভর করে। বহু আলোকবর্ষ দূরে কোনো এক গ্রহের জীব সেই নক্ষত্র টিকে দেখিয়ে হয়তো মহাবিশ্বের বিস্ময়ের গল্পো শোনাতে থাকে তার সন্তান কে। কেউ জানেনা কত দহন ভেতর থেকে পোড়াচ্ছে নক্ষত্রটিকে, কালের পরিক্রমায় সুপারনোভার বিস্ফোরণে এক কৃষ্ণগহ্বরে রূপনেয় সে। সকল গ্রহের প্রাণ সঞ্চারকারি এখন মহাবিশ্বের এক আতঙ্কের নাম সে গ্রাস করে ফেলে সবকিছু । সে সর্বপ্রথম গ্রাস করে নিজের গুহ গুলোকেই এর তার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না কেউই.... আপনি মনে করতে পারেন সে হয়তো মহাবিশ্বের কোনো এক খল চরিত্র...। হয়তোবা...!! কিন্তু আপনি যখন তার কাছ থেকে দূরে যাবেন, বহু দূরে ......সেই গ্যালাক্সি থেকে অনেক দূরে.... কেবল তখন ই আপনি বুঝতে পারবেন সেই মৃত খল চরিত্রের আসল রহস্য। হয়তো সে দীপ্তি ছড়িয়ে কোনো গ্রহপুঞ্জকে আলোকিত করে না.. কিন্তু সে পুরো গ্যালাক্সির প্রাণ কেন্দ্রে পরিণত হয় । এখন শুধু গ্রহণ নয় প্রতিটি নক্ষত্র তাকে আবর্তন করে। এক মহা দায়িত্ব তার উপরে অর্পিত । পুরো গ্যালাক্সীর ভার সে একাই বহন করে তাকে সুধু আপনি গ্রাস করতেই দেখবেন কিন্তু দেখবেন না যেটা সেটা হলো তার গভিরতা...তার ভেতরের গভীরতা আর দহন অসীম...যেটা হ্রদ করার ক্ষমতা কারুর নেই....। তাই বলছি কোনো খল চরিত্রের প্রেমে না পড়লেও ঘৃনা করবেন না হয়তো তার অন্তর্দহনের গভীরতা আপনার জ্ঞান সীমানার বাহিরে। (সাদাত মাহমুদ)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)